আমরা নিয়মিত কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প আমাদের সাইটে প্রকাশ করবো। আর সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই সুদীপ্ত মুখার্জির ভালবাসা নিয়ে দুটি বাংলা কবিতা আজ তুলে ধরলাম। ভালবাসাকে কেন্দ্র করে যেমন রয়েছে স্বপ্ন গড়ার সুপ্ত আনন্দ তেমনি রয়েছে বিচ্ছেদ আর ভাঙ্গার বৈচিত্র্য। তাই ভালবাসার বিভিন্ন ধরন নিয়ে আমরা হাজির হবো প্রিয় পাঠকদের কবিতার পিপাসা মেটাতে।
নিষিদ্ধ ভালবাসা
হিরোশিমা আর নাগাসাকি,পৃথিবীর নিষিদ্ধ দুটি শহর।ভালবাসার জন্য, প্রেমের জন্য!
যে শহর,বিকলাঙ্গ সন্তান উৎপাদন করে -সে শহরে ভালবাসা নিষিদ্ধ বৈকি!তবুও মানুষ ভালবাসে, ভালবাসে স্মৃতিআর ভালবাসে, হারিয়ে যাওয়া সময়।আমরা স্মৃতি উড়িয়ে দেই, ধোঁয়া বানিয়ে।সময় উড়িয়ে দেই, ধোঁয়া বানিয়ে।
সময়, স্মৃতি আর ধোঁয়া এদের কি অদ্ভুত মিল!উড়ে যায়, বয়ে যায় তবু দাগ রেখে যায়।কেউ হৃদয়ে, কেউ ফুসফুসেকেউবা পৃথিবীর মানচিত্রের শেষ সীমান্তে,কিংবা মহাকালের অতলে ছোট্ট বিন্দুর মত।মহাকালের কোন কষ্ট নেই!মহাকালের বুক চিরে,কত সময় আর স্মৃতি বয়ে গেছেএদের পদচিহ্নে মহাকাল ক্ষতবিক্ষত!
তবুও মহাকালের কোন কষ্ট নেইকেননা মহাকালের উৎপত্তি ধোঁয়া থেকে!তাই কষ্টে আমরা ধোঁয়া উরিয়ে দেইআর সে ধোঁয়ার দাগ রাখে আমাদের ফুসফুস।
ভাল থেকো সময়, ভাল থেকো স্মৃতি
আর ভাল থেকো ফুসফুসের গন্ধ মেশানো ধোঁয়া।
ভালবাসি
সুদীপ্ত মুখার্জি
যে তোমায় কথা দিয়েছিল
তোমার খোলা চুলে
উড়ে যাবে মহাসমুদ্রের পারে
সে কি কথা রেখেছিল?
তোমার চুলের খোঁপায়
যে বেঁধে দিতে চেয়েছিল রক্তিম পলাশ
তার রক্ত মাখা হাত কি ছুঁয়েছিল(?)
তোমার খোঁপা ভালবাসার নির্লিপ্ততায়!
যে তোমায় বলেছিল হীম পাহাড়ের দেশে
ফোঁটাবে ফাল্গুনী ফুল,
এ পৃথিবী তৃপ্ত করবে ফল্গুধারায়
সে কি পেরেছে তোমায় করতে সিক্ত?
কোন পূর্ণিমা রাতে যে তোমায় তৃপ্ত করতে চেয়েছিল
অবগাহনের গভীর নিমজ্জনে জানি সে কথা রাখে নি।
যদি আমিও না রাখতে পারি কথা,
তাই তোমায় আমি কোন কথা দেব না।
শুধু এইটুকু বলতে পারি,
মন খারাপের বৃষ্টিস্নাত প্রতিটি সন্ধ্যায়
যখন তুমি সজল নয়নে বাইবে দুঃখ খেয়া
তখন তুমি আমাকে অবশ্যই পাশে পাবে।
তখন না হয় বলব, ভালবাসি।
0 মন্তব্যসমূহ