অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়া আগামী পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভয়ানক অসুস্থতার নাম। শুধু আমাদের দেশ নয় সারা দুনিয়া জুড়ে একই অবস্থা দেখা দেবে।
আর এই বিষয় নিয়ে গবেষণার ফলশ্রুতিতেই ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশনের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন।
বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষের বয়স ৫ বছর বা তার বেশি বয়সী। আর এরা প্রতিনিয়ত মোটা হতে চললো। তাদের গবেষণায় বলা হয় প্রায় ৫১%, বা ৪ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ ২০৩৫ সালের মধ্যে অতিরিক্ত মোটা বা স্থূল হয়ে যাবে। বিশ্বব্যাপী ২.৬ বিলিয়ন মানুষ (জনসংখ্যার ৩৮ শতাংশ) ২০২০ সালে অতিরিক্ত ওজন বা স্থূল ছিল।
শুধুমাত্র ২০২০ সাল থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে ১৪% থেকে ২৪% মানুষ অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাবে। যার পরিমান প্রায় ২ বিলিয়ন।.
আরো পড়ুনঃ
বিশেষ করে ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের মধ্যে স্থূলতার আনুমানিক হার ১০ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে মেয়েদের মধ্যে ৮ থেকে ১৮ শতাংশ। যা দ্বিগুণেরও বেশি। মানুষের বিএম আই এর মান এর উপর নির্ভর করে সে অতিরিক্ত মোটা না কি স্বাভাবিক আছে। সাধারণত যদি কারও বিএমআই এর মান ২৫ হয় তাহলে তাকে মোটা বলা যায়। কিন্তু যদি কারও বিএমআই এর মান ৩০ এর বেশী হয় তখন তাকে অতিরিক্ত মোটা বলে বিবেচনা করা হয়।
.এই অতিরিক্ত মোটা রোগ প্রতিরোধ করতে প্রায় ২০৩৫ সালের মধ্যে এর খরচ এর পরিমাণ দাড়াবে প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন এর সমান। তাহলে মোটা হওয়া সমস্যা যে সমগ্র পৃথিবীর অর্থনীতির উপরও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে তাতে আর কোন সন্দেহ নেই। আর এই বিশাল অর্থনীতির ক্ষতি ২০২০ সালের করোনা ভাইরাস এর ক্ষতির সাথে তুলনার যোগ্য।
.
একটি নির্দিষ্ট উচ্চতার জন্য স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয় মোটা হওয়াকে। তবে তার থেকে বেশি ওজন এবং শরীরের অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অস্টিওআর্থারাইটিস, স্লিপ অ্যাপনিয়া ইত্যাদির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। সারা পৃথিবী জুড়ে এই সমস্যা ভয়াব্হ আকার ধারণ করতে যাচ্ছে। তার মধ্যে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রায় ৫৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ অতিরিক্ত মোটা হয়ে পড়বে।. তাই সময় থাকতে আমাদের সকলের সতর্ক হওয়া উচিৎ।
.
0 মন্তব্যসমূহ
please don't enter any spam links in the Comment Box.